কিছু অসাধারণ সাইকোলজিক্যাল ট্রিক্স আছে যেগুলো জানা থাকলে আমাদের জীবন অনেক সহজ
হবে।এই ট্রিক্সগুলো আমাদের দক্ষতাগুলিকে প্রভাবিত করবে এবং আপনার জীবনকে সহজ করবে।
১-আপনি আপনার পছন্দের মানুষ যেটা পছন্দ করে তার সাথে কথা বলার সময় সেই বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন। এতে করে সে ভাববে যে আপনি তার প্রতি অনেক খেয়াল রাখেন এবং তার আচরণ আপনার পছন্দ হয় ।কথা বলার সময় মুখে হাসি বজায় রাখুন ।একটি হাসি অনেক কথা বলে। সব সময় ইতিবাচক ভাবে কথা বলার চেষ্টা করুন ।ইতিবাচকতা আমাদের পজিটিভ এনার্জি সরবরাহ করবে।
২-আপনি কি চান যে লোকেরা আপনার কথা গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করবে? যতবার আপনি তাদের কিছু বলবেন, বলুন যে আপনার বাবা আপনাকে এটি শিখিয়েছিলেন। লোকেরা মাতৃ-পিতৃ স্থানীয় স্থানীয় লোকদের কথা জিনগতভাবে বিশ্বাস করে।
৩-হয়ে উঠুন ‘রক, পেপার, সিজর চ্যাম্পিয়ন!’ ‘রক, পেপার, , সিজর’ গেমটি জিততে সরাসরি খেলার আগে, আপনার প্রতিপক্ষকে এলোমেলো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। বেশিরভাগ সময় আপনার বিভ্রান্ত বন্ধুটি "সিজর" আউটপুট দেবে।
৪-আপনি যদি চান যে লোকেরা আপনার সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করুক তবে আপনি কথা বলার সময় আই কনট্যাক্টটি বজায় রাখুন। কথা বলার সময় আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন এবং সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করুন ‘আমি যা বলছি সবই সত্য’। এছাড়াও, সামাজিক আদব কায়দা মেনে চলুন। এতে করে লোকজন আপনার কথায় প্রভাবিত হতে পারে।
৫-আপনি কি চান যে ট্রেন স্টেশনে একটু স্বাচ্ছন্দে হাঁটাচলা করবেন।অবশ্যই এটি সম্ভব। এর জন্য আপনাকে যদি ভিড়ের মধ্যে আনা হয় তবে মাথা ঠান্ডা করে এগিয়ে চলতে হবে। সব সময় সামনের দিকে তাকাতে হবে ।ভীড়ের সময় মানুষের প্রবণতা থাকে অন্য মানুষের দিকে তাকানো। কিন্তু এতে আরো সমস্যা বেড়ে যায়। বরং এ সময় সামনের দিকে তাকিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে ।
৬-কেউ যদি কোন গানের কথাগুলো ভুলে যায় তবে সেগুলো মনে রাখার একটি পদ্ধতি আছে। সে ক্ষেত্রে গানগুলোর শেষের লাইন গুলো মনে রাখার চেষ্টা করতে হবে। 'জায়গারনিক' প্রভাব অনুসারে আমাদের ব্রেন আমাদের অসমাপ্ত কাজগুলো মনে রাখতে চেষ্টা করে। তো আপনি যদি গানের শেষের কথাগুলো মনে রাখেন তবে আপনি গানের প্রথম থেকে মনে করতে পারবেন।
৭-যদি আপনার সন্তানেরা বিভিন্ন শাকসবজি খেতে না চায় তবে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। বাচ্চাদের শাকসবজি খাওয়ানোর ফলে বাচ্চারা তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে, তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হয় ।সেজন্য বাচ্চাদের বিভিন্ন শাকসবজি খাওয়ানো অভিভাবকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে কাজটি সহজ হয়। আপনি যখন বাচ্চাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন তারা এই শাকসবজি খাবে কিনা তখন আপনি ভুল করেন। আপনি বরং এভাবে জিজ্ঞেস করেন যে এই শাক রান্না করব আজকে, কি মসলা দিব যাতে তুমি ভালো খাও? এভাবে আপনি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন যে আপনি আজকে শাকসবজি রান্না করবেন এবং বাচ্চাকও একটু চয়েস করার সুযোগ দিলেন আপনি। বাচ্চারা শাকসবজিতে কি মসলা দিয়ে রান্না হবে ঠিক করলে বাচ্চারা ভাববে যে তারা নিজেরা ইচ্ছা করে মসলা পছন্দ করেছে। সুতরাং, শাকসবজি একটু টেস্ট করে দেখবে। এভাবে করে খুব সহজেই বাচ্চাদের শাকসবজি খাওয়ানো যেতে পারে
৮-যদি আপনার এমন বোধ হয় যে কেউ আপনাকে দেখছে তবে আপনি চারপাশে তাকাবেন। যদি দেখেন যে অন্য আর একজন রাস্তায় আপনার মত চারপাশের তাকাচ্ছে তবে কিছুটা অনুমান করে নিতে হবে যে ওই লোকটি আপনাকে ফলো করছে। আপনি দ্রুত নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে যান।
৯-আপনি যদি চান যে আপনার বন্ধু আপনাকে কোন ভারী বস্তু তুলতে সাহায্য করুক তবে আপনি বন্ধুর কাছে সাহায্য চাইবার পর পরই আপনাদের মধ্যে কাটানো কোন প্রিয় মুহূর্তের গল্প জুড়ে দিবেন। এতে করে ওই বন্ধুটি নিজের অজান্তেই আপনার ভারী বস্তু বহন করতে সম্মত হয়ে যাবে ।তবে অনেক সময় অনেক মানুষ সচেতন থাকে।আপনার বন্ধুটি যদি আপনার খুব ক্লোজ না হয় তবে এই পদ্ধতি কাজ নাও করতে পারে।
১০-আপনি যদি কারো সাথে করমর্দন করতে চান তবে সেটা করার আগে অবশ্যই আপনার হাত শুষ্ক এবং উষ্ণ রাখুন। উষ্ণ এবং শুষ্ক হাত বন্ধুত্বের জন্য ভাল বার্তাবাহ।শুষ্ক এবং উষ্ণ হাত বন্ধুত্বের পরিবেশ সৃষ্টি করে অন্যদিকে বিপরীত হলে সেটির বিপরীত প্রভাব সৃষ্টি হয়।
১১-আপনার বন্ধুটি যা কিছু বলেছে, সেটিকে পুনরাবৃত্তি করে আবার বলুন। যে ব্যক্তি আপনার সাথে কথা বলবে সে অবচেতনভাবে এই অনুভূতিটি পাবে যে আপনি সত্যিই দুর্দান্ত শ্রোতা। তবে পুনরাবৃত্তি বারংবার করবেন না, বুঝে-শুনে করবেন।
১২-যদি আপনার কোন কাজে অন্য কারো সাহায্য দরকার হয় তবে আপনি তাদেরকে সরাসরি বলবেন যে আমার আপনার সাহায্য দরকার। তাহলে লোকটার সাহায্য করার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।মানুষ সবসময় আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিকে সাহায্য করে। আপনার সাহায্য দরকার ; এই বাক্য দ্বারা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলা হয়েছে যে আপনার অন্যের সাহায্য দরকার। অন্যদিকে আপনি যদি বলেন আমাকে কি আপনি সাহায্য করবেন? এই বাক্যটিতে আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠেনি। তাই সাহায্য করার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।
১৩-যদি আপনার মনে হয় যে একজন ব্যক্তি আপনাকে পছন্দ করে না তবে আপনি ওই ব্যক্তির কাছে কলম বা পেন্সিল ধার করতে পারেন। যদি ওই ব্যক্তি আপনাকে কলম বা পেন্সিল ধার না দেয় তাহলে ধরে নিবেন যে ওই ব্যক্তি আপনাকে পছন্দ করে না,। যদি ধার দেয় তবে ভাববেন যে আপনাকে ওই ব্যক্তি পছন্দ করে । সাধারণত অপছন্দের মানুষকে কোন মানুষ বিভিন্ন জিনিস ধার দিতে চায় না।
এই সাইকোলজিকাল ট্রিক্সগুলো আপনার জীবন-যাপনে নিজেকে এবং অন্যকে বুঝতে অনেক সাহায্য করবে।
আপনি জীবনে অন্যের থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকবেন এগুলো জানার ফলে।

0 Comments